সোমবার, ৩ মে, ২০২১

ফেসবুক মার্কেটিং কী? শুরু থেকে শেষ

ফেসবুক মার্কেটিং    সহজ করে যদি বলি তাহলে তুলনা দিব নরমাল মাার্কেটিংয়ের সাথে। তাহলে আপনাাাদর বুঝতে সুবিধা হবে। বিভিন্ন জায়গায় আপনারা পোস্টার দেখেন, লিফলেট বিলি করতে দেখেেন, বিভিন্ন প্রোডাক্ট অথবা সাাার্ভিসের  মাইকিং

 হয়, বিভিন্ন অফিসের অন্য অফিস থেকে কেউ এসে তাদের সাাার্ভিস অথবা প্রোডাক্ট অফার করে ইত্যাদি। এই গুলো তো সবই তোো মাার্কেটিং অথবা প্রচার নিজের কোম্পানির। কিন্তু এই গুলোকেে আমরা বলি অফলাইন মার্কেটিং, যেটা সরাসরি একজন মানুষ দেখেছে।

       এখন সেটাই যদি এমনভাবে করা যাই যেটা মানুষ আরো সহজে দেখবে অথবা জানবে তাহলে কেমন হয়? এখান থেকেই শুরু হয়ে গেলো অনলাইন মাার্কেটিংয়ের কাজ:- ফেসবুক মাার্কেটিংয়ের কাজ। পোস্টার লাগাতে আপনার যে পরিমাণ টাকা, শ্রম ইত্যাদি খরচ হচ্ছে সেটা থেকে অনেক কম টাকায় , অনেক কম কষ্টে আপনি সেটা করতে পারছেন । ৫০০০ টাকা দিয়ে পোষ্টার লাগিয়ে আপনি যতজন মানুষ কে অ্যাড দেখাতে পারছেন , সেই একই পরিমাণ টাকা খরচ করে ফেসবুকে অ্যাড দিলে এর থেকে বেশী মানুষকে দেখাতে পারেন

        আমারা মূলত মার্কেটিং করি এমন জায়গায় যেখানে মানুষের যাতায়াত বেশি থাকে তাই নয় কি? একদম নিজন একটা জায়গায় ১০টা পোস্টার লাগালে খুব লাভ হবে কি?তাই দেখবেন পোস্টার, লিফলেট ইত্যাদি এমন জায়গায় লাগানো হয় অথবা দেওয়া হয় যেখানে মানুষ অনেক থাকে । এখন আপনি অনলাইনর কথা চিন্তা করুন। ফেসবুকর কথা চিন্তা করুন। কোথায় আপনি বেশি মানুষ পাবেন একটা রাস্তার মোড়ে নাকি ফেসবুকে। একটা রাস্তার মোড়ে কি আপনার পছন্দ মতো বয়সের , দেশের, এলাকার মানুষ পাবেন? মনে হয় না পাবেন , কিন্তু ফেসবুকে পাবেন। আমার মনে হয় আর কিছু বলার দরকার নেই ফেসবুক মার্কেটিং এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে

ফেসবুক মার্কেটিং প্রকার ভেদ     
১. অরগানিক মার্কেটিং     ২. পেইড মার্কেটিং।
অরগানিক মার্কেটিং  :-  অরগানিক মার্কেটিং অথবা ফ্রি মার্কেটিং , চিন্তা করুন আপনি যখন কোন পোস্ট আপনার নিজের টাইমলাইনে পোস্ট করেন সেখানে লাাকই পড়ে, কমেন্ট পড়ে, শেয়ার হয় সেখানে কি আপনাকে টাকা দিয়ে অ্যাড দিতে হয়? না সেখান টাকা লাগেে না। এইটাকে আমরা বলছি অরগানিক মার্কেটিং। আপনি যখন একটা পোস্ট আপনার ফেসবুকের পেজে অথবা গ্রুপের দিলেন সেই পেজেের ফ্যান অথবা  গ্রুপের অনেক মেম্বাররা এমনিতে আপনার পোস্ট দেখবে, লাইক দিবে, কমেন্ট করবে, শেয়ার করবে এভাবে আপনার পোস্ট রিচড হবে। 
পেইড মার্কেটিং  :- এখন কথাা হচ্ছে যদি অরগানিক মাার্কেটিং দিয়েই সবাই দেখে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে তাহলে পেইড মার্কেটিং করার কী দরকার ? দরকার দুই জায়গায় একটা হচ্ছে আপনি যখন একটা পোস্ট পেজে অথবা গ্রুপে দিচ্ছেন এমন না কিন্তু যে সেই পেজের সবাই আপনার পোস্ট দেখছে। ৮-৯% ফ্যান অথবা মেম্বার হয়তো আপনার পোস্টটা দেখতে পাবে। আরেকটাা কারন পেইড মাার্কেটিংয়ের সেটা হচ্ছে আপনার পেজেে ফ্যান অথবা  মেম্বার অনেক কম থাকতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি যদি পেইড মার্কেটিং না করেন তাহলে কি ভাবে মানুষ দেখবে আপনার পোস্ট? তাই পেইড মাার্কেটিংয়ের গুরুত্ব সব থেকে বেশি। ফেসবুকও এইটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। যেমন- আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বয়স, ছেলে নাকি মেয়েে, অবস্থান, ইন্টারেস্ট ইত্যাদি সেট করে ফেসবুকেে অ্যাড দিতে পারবেন। 
- আপনি কোন কোন দেশে আপনার অ্যাড পৌঁছাতে পারবেন সুবিধা ও এখানে আছে 
-আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস অনুযায়ী ফেসবুকের বড় বড় পেজকে টার্গেট করা যাবে তাতে শুধু সেইসব পেজের ফ্যান দের কাছে আপনার অ্যাড যাবে। 
-আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটররা নিয়যিত আপনার ফেসবুকের অ্যাড তাদের টাইমলাইনে দেখতে পাবে। বুঝতে পারছেন পেইড মাার্কেটিংয়ের কত সুবিধা, সাথে অরগানিক মার্কেটিং ও করে যেতে হবে। 

কী কী লাগবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে?  :-
-ফেসবুক আইডি মানে হচ্ছে পার্সনাল আআইডি 
-ফেসবুক পেইজ 
-ফেসবুক গ্রুপ 

ফেসবুক আইডি :- ফেসবুক আইডি তো লাগবেই আপনার, কারন সেটা দিয়েই আপনি পেজ, গ্রুপ ওপেন করবেন। পেজ বা গ্রুপ থেকে অন্য কোন পেজ অথবা  শেয়ার করতে চাইলে ও আপনার পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট থেকে করতে হবে। আবার আপনি যদি মনে করেন আপনি  নিজের কোন পোোস্ট দিয়ে আপনার ব্যান্ডকে তুলে ধরবেন সেটাও আপনি আপনার পার্সোনাল পেজ থেকে করবেন 
ফেসবুক পেজ :- ফেসবুক পেজকে মূলত অফিসিয়াল পেজ বলা যেতে পারবে। যেমন ধরুন আপনার প্রোডাক্ট হচ্ছে জামা - কাপড় ইত্যযাদি । তাহলে আপনার একটা পেজ করতে হবে একটা নাম দিয়ে, এরপর আপনি সেই পেজের মাধ্যমে আপনার প্রোরোডাক্টর মাার্কেটিং করবেন । যেমন -
-আপনার  প্রোডাক্টের ছবি আপলোড দিলেন 
-বিভিন্ন ধরনের উপকারী পোস্ট দিলেন 
-আপনার প্রোডাক্টের পোস্টে পেইড অ্যাড দিলেন 
-কন্টেস্টের আয়োজন করলেন ইত্যাদি  তবে এখানে যে পোস্ট গুলো সব আপনার পেজের নামে যাবে কোন পার্সোনাল আইডির নামে যাবে  না 
ফেসবুক গ্রুপ :-  ফেসবুক গ্রুপ বিভিন্ন রকম  হয়ে থাকে ,পাবলিক, ক্লোজ, সিক্রেট, তবে পাবলিক  group হচ্ছে বেশি জনপ্রিয় হবাই যে এইটা শুধু পেজের নামে পোস্ট হয়। গ্রুপে অ্যাডমিন, মডারেটরসহ group যে কোন মেম্ব্বার   পোস্ট করতে পারবে। তবে গ্রুপের অ্যাডমিন,মডারেটরর এপ্রুভাল সিস্টেম না থাকলে অনেক উল্টাপাল্টা পোস্ট দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। আপনি গ্রুপের মধ্যে একটা কমিউনিটি করতে পারেন, এরপর আপনার প্রোডাক্টের মাার্কেটিং সেখানেও করতে পারবেন। মনে রাখবেন মাার্কেটিং মানে হচ্ছে আপনাকে এমন জাায়গায় যেতে হবে যেখানেে মানুষের ভিড় আছে ।আর আপনার ফেসবুক আইডি, পেজ, গ্রুপে যদি থাকে তাাহলে কেন মাার্কেটিং করবেন না? 



ফেসবুক মার্কেটিং কী? শুরু থেকে শেষ
4/ 5
By
Add your comment