শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১

ফেসবুকের আ্যাডের খরচ কী ভাবে নির্ধারণ হয়, ফেসবুক অ্যাডের যে ব্যাপার গুলো গুরুত্বপূর্ণ

ফেসবুকের আ্যাডের খরচ কী ভাবে নির্ধারণ হয়, ফেসবুক অ্যাডের যে ব্যাপার গুলো গুরুত্বপূর্ণ

যারাই ফেসবুক অ্যাড নিয়ে কাজ করে সে ফেসবুকে বিজনেস করুক অথবা ফেসবুকে অ্যাড বুস্ট করুক সবারই একটা কমন প্রশ্ন থাকে যে ফেসবুক কত টাকা কেটে নিবে তার অ্যাড থেকে। উওরটা খুব সন্ত্তষ্ট করতে পারবেনা। 


কাউকে কারণ উওরটা হচ্ছে 'এইটা নির্ভর করে'.... সত্যি কথা বলতে কি আপনার ফেসবুক অ্যাডের খরচ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে, মাস, দিন, ঘন্টা, এবং লোকেশন ইত্যাদি। বিখ্যাত কোম্পানি Adespresso ৬৩৬ মিলিয়ন ডলার ফেসবুক অ্যাডে খরচ করেছে। তার উপর ভিত্তি করে এখানে কিছু তথ্য দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এইটা বলে নেয়া হচ্ছে, এখানে একদম নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে না যে, আপনার অ্যাডের কত খরচ হবে। তবে আপনি একটা ভালো আইডিয়া পাবেন সেটা বলাই যায়।



কীভাবে ফেসবুক বিডিং প্রসেস কাজ করে

ফেসবুক অ্যাডের খরচ যাওয়ার আগে এটা গুরুত্বপূর্ন যে আমরা একটু সময় নিয়ে ফেসবুকে বিড প্রসেসটা বুঝে নেই। কারণ ফেসবুকে অ্যাড অনেকটা অকশন অথবা নিলামের মতো এখানে  আপনার খরচ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে পারে যেটা আপনি কন্ট্রোল করতে পারবে না। 


কিন্তু আপনার সুবিধা  অনুযায়ী এটাা আপনি smart  bidding strategies- এর মাধ্যমে পরিবর্তন করে নিতে পারেন। আপনি যখন ক্যাম্পেইন তৈরি করেন এটা আপনি pricing and bidding section - এ পাবেন। আর আপনি যদি ম্যানুয়ালি এটা করেন তাহলে ফেসবুক অটোমেটিকলি আপনার বাজেট এবং আপনার অ্যাড ডিউরেশনের উপর ভিত্তি করে একটা বিড হিসাব করবে। যেটা আগে ও  বলা হয়েছে যে, এটা একটা নিলামের মতো ব্যাপার এবং আপনি অন্য advertiser- এর বিরুদ্ধে বিড করছেন।

ডাউনলোড 

 এইটার মানে হচ্ছে এখানে শত শত advertiser বিভিন্ন বিড স্ট্রেটেজি নিয়ে কাজ করছে এবং সবার দৃষ্টি ফেসবুক ইউজারের উপর যেমনটি আপনারও। তাই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি একটা ভালো বিডিং স্ট্রেটেজি নিয়ে কাজ করছেন যেখানে আপনি কম্পিটিশনে টিকে থাকতে পারবেন এবং আপনার অ্যাডকে  ভালো একটা রেজাল্ট এনে দিতে পারেন। যেমন ধরুন একটা নিউজ পেপারে আপনি প্রথম পেজে অ্যাড দিলে এক রকম খরচ আবার ভিতরের পেজে দিলে আরেকরকম খরচ। 


এখন প্রথম পেজের একই জায়গায় অ্যাড দেয়ার জন্য দুইটা কোম্পানি এলো তাহলে সেই নিউজ পেপার কোম্পানি কী করবে? যার বাজেট বেশি তার অ্যাডটাই  ছাপাবে ।ঠিক এভাবেই কাজ করে করে ফেসবুক বিডিং। আপনার ফেসবুক অ্যাডের কত খরচ হবে এট বিভিন্ন কারণে নির্ভর করে আর বিড হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।


আরো যেসব ব্যাপারে ফেসবুকের অ্যাডের খরচ নির্ভর করে :-

সময়:- বছরের একটি মাস, সপ্তাহের একটি দিন এবং আরো নির্দিষ্ট করে বলতে হলে একটি দিনের নির্দিষ্ট একটি  ঘন্টা ও অ্যাড খরচের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, কিছু পিক টাইম আছে যেখানে কম্পিটিশন অনেক বেশি থাকে আর যার ফলে অ্যাডের খরচ বেড়ে যায়।

আপনার বিড স্ট্রটেজি :-  আপনি যখন কম খরচ নির্বাচন করবেন অথবা কোনো specific bid cap নির্বাচন করবেন এটার উপরও আপনার অ্যাড ডেলিভার খরচ নির্ভর করবে।

আপনি যেসব প্লেসমেন্ট নির্বাচন করেছেন :- বিভিন্ন ধরনের অ্যাড প্লেসমেন্টের খরচ একেক রকম। যেই প্লেসমেন্টের কম্পিটিশন বেশি যেখানে খরচ বেশিই হবে সেটা স্বাভাবিক। একটা নিউজ পেপারে অ্যাডের কথাই চিন্তা করুন আপনি যদি প্রথম পেজে আপনার অ্যাড দিতে চান তাহলে কত খরচ হবে আর যদি অ্যাড দিতে চান ভিতরের পেজে একটা কোনায় তাহলে কত খরচ হবে।

প্রাসঙ্গিক মেট্রিক্স :- ফেসবুকের ৩ টি আলাদা আলাদা মেট্রিক্স আছে অ্যাডের মান নির্ধারণ করার জন্য Engagement Ranking, Quality Ranking এবং Conversion Ranking. এখানে কোন একটা সেকশন যদি আপনার অ্যাড লো স্কোরে থাকে তাহল আপনার অ্যাডের খরচ বেড়ে যাবে। 

যে গ্রাহক আপনি টার্গেট করেছেন :- যদি আরেকজন advertisers আপনার মতো অডিয়েন্স মেম্বার নির্বাচন করতে চায় তাহলে আপনার খরচ বেড়ে যাবে। কারণ নিউজ ফিডের স্পেস আন লিমিটেড না 


ফেসবুক অ্যাডের যে ব্যাপার গুলো গুরুত্বপূর্ণ :- 

আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী অ্যাড দিন :- আপনি কী চান? আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বারুক নাকি আপনার পেজেে লাইক? এখানে প্রতিটার আলাদা আলাদা গুরুত্ব আছে। আপনি যদি চান আপনার একটা পোস্ট অনেকে দেখুক লাইক দিক, কমেন্ট করুক আর করলেন লাইকের বুস্ট  তাহলে কিন্তু হবে না। তাই ফেসবীক অ্যাড ম্যানেজেরে চমৎকার অপশন আছে যে আপনা কীসের জন্য অ্যাড দিবেন। যেখান থেকে নির্বাচন করুক। 

কী ধরনের অ্যাড দিয়ে শুরু করবেন :- একদম নতুন ফেসবুকে অথবা ফেসবুকে প্রথম বুস্ট করাবেন? বুঝছেন না যে কী ধরনের অ্যাড দিবেন? তাহলে আমি বলব লাইকের অ্যাড দিয়ে শুরু করুন। তবে কিছু ব্যাপারে মনে রাখতে হবে, এখানে লাইকের বুস্ট  করার আগে লক্ষ রাখবেন আপনার পেজ একদম ফাঁকা কি না, আপনার কিছু পোস্ট অ্যাড দেয়ার আগে দিয়ে নিতে হবে। লাইকের অ্যাড দিবেন এখানেও আপনি টার্গেট করে দিবেন কারা আপনার পেজ লাইক দিবেন। আপনি ইচ্ছা করলে অনেক লাইক নিয়ে আসতে পারেন কিন্তু সেই লাইকে কোন লাভ হবে না। তাই টার্গেট করে লাইক আনুন। 

কল টু অ্যাকশান ভালো মতো দিন :- পেজের কল টু অ্যাকশান ঠিকমতো দিন, অ্যাড দেয়ার আগেে যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একটা পোস্ট দিলেন, সেটা কেউ দেখলো, দেখার পর কিছু জানার থাকতে পারে অনেকের। তাহলে সে কীভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে? সেটা পেদ ঠিক করে রাখেন। 

ফেসবুক ইনসাইট ব্যবহার করুন :- ফেসবুক ইনসাইট ফেসবুকের চমৎকার একটা ব্যাপার। এখান থেকে আপনি দেখে  নিতে পারবেন আপনার কোন পোস্ট মানুষ বেশি পছন্দ করলো, কোন বয়সের, কোন মানুষ আপনার পেজে আছে, সেটা দেখে  এরপর সিদ্ধান্ত নিয়ে অ্যাডের টার্গেট ঠিক করুন। মনে রাখবেন টাইগার উডের ফ্যান কিন্ত গলফ  ক্লাব কিনবে না অথবখ গুলশান - বনানীর মতো এলাকায় কম্পিউটার চালানোর কোর্সে স্কলারশিপ দিলে লাভ আছে বলে মনে হয়় না। তাই এগুলো বুঝে শুনেে করুন। 

যে ৪ ভাবে আপনি অ্যাড চালালে অনেক ভালো হবে :- ১. পোস্ট অবশ্যই ছবি ব্যবহার করবেন, ছবি ব্যবহার করার অ্যাড অনেক বেশি এঙ্গেজমেন্ট হয়। যদিও এটা প্রায় সবাই করে। তাই এখানে বলতে চাই, যে পোস্ট দিবেন সম্পর্কিত ছবি দিন। যে ছবি দিচ্ছেন সেটা যদি প্রোডাক্টের ছবি হয় তাহলে অবশ্যই মানসম্মত ছবি দিন। সার্ভিসের ছবি হলে মানুষের ছবি ব্যবহার করতে পারেন। রঙের ব্যাপার এ একটু বলতে পারি সেটা হচ্ছে লাল রং। এগুলো কোনোটাই নিয়ম না, এরকম করলেে আপনার এঙ্গেজমেন্ট ভালো হবে আসা করা যায়। যেমন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোন পণ্য বা 

 




 

 

ফেসবুকের আ্যাডের খরচ কী ভাবে নির্ধারণ হয়, ফেসবুক অ্যাডের যে ব্যাপার গুলো গুরুত্বপূর্ণ
4/ 5
By

1 টি মন্তব্য