মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১

ই-কমার্স ব্যবসায় কী ভাবে প্রোডাক্ট নির্বাচন

 

এমন কিছু দিয়ে শুরু করুন যার সমস্যা আপনি নিজে সমাধান করতে পারবেন। ভালো হয় ই-কমার্স বিজনেস এমন কিছু দিয়ে শুরু করলে যেটা সম্পর্কে আপনি জানেন। দরুন আপনি কম্পিউটার হাডওয়্যার - সফটওয়্যার ইত্যাদি সম্পর্কে আপনি ভাালো জানেন তাহলে সেটা দিিয়ে শুরু করুন অথবা আপনি ডোমেন হোস্টিং নিয়ে অনেক অভিজ্ঞ তাহলে সেইটা হোক আপনার প্রথম প্রোডাক্ট অথবা বিজনেসের বিষয় বস্তু।

তাহলে যেটা হবে - আপনি আত্মবিশ্বাস সাথে কাজ করতে পারবেন। - যে কেউ আপনাকে ভুল বুঝিয়ে বাজে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস দিতে পারবে না।

-কোন সমস্যা হলে সেটা আপনিই সমাধান করতে পারবেন।

আপনার চারপাশে দেখুন :-

এইটা অনেক ভাালো ব্যাপার যে, আপনার চারপাশ থেকে ই-কমার্স বিজনেসের আইডিয়া নিবেন। আপনি যেহেতু ঠিক করেছেন বিজনেস করবেন তাহলেে আপনিি যখন বাইরে যাবেন তখন দেখুন কোন নতুন কিছু আপনার চোখেে পড়ে কী না, যেটা কোনো দোকান অথবা মাার্কেটে খুব সুন্দর করে সাাজানো হয়েছে। এখানে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার লোকাল মাার্কেটে কোন ধরনের প্রোোডাক্ট গুলো বেশি জনপ্রিয় ।


সফল ভাবে বিজনেস করতে যা করবেন 

আপনি কি চান সেটা না , ক্রেতা কী চাই সেটা করুন :-

প্রথমে ঠিক করুন কী নিয়ে বিজনেস করবেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এখানে আপনার ক্রেতা কি চায় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে আপনি কী চান সেটা থেকে বেশি। তাই বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেসবুক গ্রুপ, দেখে তাদের কী সমস্যা, কি ভাবে সমাধান করতে চাচ্ছে সেটা প্রোডাক্ট হতে পারে সার্ভিস হতে পারে। কি ওয়াড রিসার্চ করে দেখে দেখে নিতে পারেন মানুষ বেশি কী সাচ করে। শুধু মাত্র অন্য একজন কিছু করছে সেটা চিন্তা করে আপনিও সেটা করা শুরু করলেন এইটা বোধ হয় ঠিক হবে না। 

কী ভাবে লিখবেন আপনার সেল পোস্ট :- 

-হেডিংটা আকর্ষণীয় হতে হবে। 

-বিস্তারিত ভাবে লিখতে হবে আপনি যেটা বিক্রি করছেন সেটা সম্পর্কে। 

-আপনার কাছ থেকে কেন সে কিনবে? আপনি তাকে অরিজিনাল প্রোডাক্ট দিবেন সেটার কি ভরসা সেটা নিশ্চিত করুন। 

-আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস কিনলে ক্রেতা কী ভাবে উপকৃত হবে?

-বিভিন্ন ধরনের অফার দিন। 

-গ্যারান্টি দিতে পারবেন। 

 কেমন হবে আপনার ওয়েবসাইট :- আপনি শুরুতে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ও কাজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রোফাইল ফটোো, কাভার ফটো  আর অন্যান্য জিনিস যেন মানসম্মত হয় সেটা নিশ্চিত করতেে হবে। আর ওয়েবসাইট বানিয়ে নিলে আরো ভালো। সেটা খুব নরমাল ডিজাইনে করার চেেষ্টা করবেন। যেমন সাদা রঙের ব্যাযাকগ্রাউন্ড, দুইটার বেশি ফন্ট না। লক্ষ রাখবেন এই গুলোর উপর। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষ যেন ওয়েবসাইট সহজভাবে চালাতে পারে, ওয়েবসাইটে ঢুকে সে যদি না বুঝতেে পারে কী ভাবে কী করতে হবে তাহলে আপনি ক্রেতা হারাবেন। কোন এক জায়গায় ইমেইল অ্যাড্রেস নেন ক্রেতার যেটা আপনার পরবর্তীতে মাার্কেটিংয়ের জন্য কাজে লাগবেে। আপনার পণ্য অথবা সার্ভিসের অ্যাড ফেসবুক অথবা গুগলে দিন। তাহলে সেখান থেকে আপনি ক্রেতা পাচ্ছেন। এখানে কি ওয়াার্ড রিচার্জ ভালোো মতো  করবেন এবং ব্যবহার তাহলে আপনি টার্গেট করা দশক পাবেন। আর ফেসবুক অ্যাডের  ক্ষেত্রে অবশ্য ক্রেতা বুঝে টার্গেট করবেন।

ফ্রি সার্ভিস দেয়ার চেষ্টা করুন :- ফ্রি কিছু রাখার চেষ্টা করুন, যেমন আপনার হয়তো আইটি ট্রেনিং সেন্টার আছে, আপনি যেখানে  ফ্রি ডাউনলোড কিছু রাখতে পারেন যেখানে বিভিন্ন সফটওয়্যার, ভিডিও ইত্যাদি থাকবেে। আপনার বিজনেসের ধরন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন যে আপনি কীভাবে উপকারী  ফ্রি  সার্ভিস দিতে পারবেন। এরকম  লিঙ্ক অনেক শেয়ার হয় তাই আপনার ওয়েবসাইট অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাত এটা আশা করা যায়।

ইমেইল অ্যাড্রেসের মাধ্যমে মার্কেটিং করুন

 :- আপনি আপনার ক্রেতার  কাছ থেকে অথবাা ভিজিটরের কাছ থেকে যে ইমেইল অ্যাড্রেস পেয়েছে সেটা ব্যবহার করুন। এখন ফেসবুক অ্যাডের ক্ষেত্রে অনেকেই এটা ব্যবহার করেছে এবং এখাানে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক ক্ষেত্রে বেেশি থাকে। কারন এখানে ক্রেতা আপনাকে চিনে, ক্রেতা হয়তো কোনো না কোনোোভাবে আপনার কাছ থেকে উপকার পেয়েছে।

পুরানো ক্রেতা ধরে রাখুন :- যারা একবার আপনার কাছ থেকে কিনছেে তারা যেন পরবর্তীতে কিনে সেভাবে কাজ করুন। তাই প্রথম সেলের সার্ভিস  যেন ভালো হয় সেটা লক্ষ রাখুন, পণ্যের মান থেেক শুরু করে ডেলিভারি সার্ভিস। আর ফেসবুক অ্যাডে তাদের মোবাইল অথবাা ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে দিন তাহলেে তাারা আপনার পরের অ্যাডটাা দেখতে পাবে আর সার্ভিস যদি ভালো লাগে তাহলে তারা পুনরায় কিনবেে আপনার কাছ থেকে 

ই-কমার্স ব্যবসায় কী ভাবে প্রোডাক্ট নির্বাচন
4/ 5
By
Add your comment